করোনা ভাইরাসের সময় কি করব আর কি করব না
নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-19 এর সময় আমদের অনেকেই এখনও জানি না কি করা উচিত এবং কি করা উচিত না।
করোনা ভাইরাস একটি মরনঘাতী ভাইরাস যার ছোবলে ইতোমধ্যে সারাবিশ্বের লক্ষ্যাধিক মানুষ মৃত্যবরণ করেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে প্রায় এক কোটি মানুষ। এখনও এর প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হওয়ায় সকলেই আতঙ্কে রয়েছে। তবে সচেতন থাকলেই এই ভাইরাস থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব। এই পোস্ট লেখাকালীন বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত 90,619 জন, মৃত্যুবরণ করেন 1209 জন এবং সুস্থ হয়েছেন 18,731 জন। ভারতে মোট আক্রান্ত 3,33,255 জন, মৃত্যুবরণ করেন 9,524 জন এবং সুস্থ হয়েছেন 1,69,817 জন।
বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যেখানে কারও সাধারণ জ্বর কিংবা কাশি হলেই করোনা বলে সন্দেহ করা হয়। সাধারণ কোনো রোগের জন্য পাওয়া যায় না কোনো ডাক্তার। অনেক ডাক্তাররাও নিজেদের নরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ রোগী না দেখার চেষ্টা করেন। এই সুযোগকে কাজে লাগায় অনেক ভন্ড কবিরাজ ও ফকির। তারা ভুল বুঝিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নেয়। তাই আমাদের সচেতন হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। আর এই সচেতনতা শুধু মাত্র করোনার জন্যই নয়, যে কোনো শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। কারণ চাইলেই এখন আগের মতো হাতের কাছে ডাক্তার পাওয়া যায় না।
তাই চলুন জেনে নিই করোনা ভাইরাসের সময় আমরা কি করব আর কি করব না।
আমাদের যা করা উচিতঃ
করোনা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের উল্লিখিত বিষয়গুলো মাথায় রেখে চলাফেরা ও জীবনযাপন করতে হবে।
আমার একটি বাস্তব অভীজ্ঞতা শেয়ার করছি: আমার এক আত্মীয়ের গলায় প্রায় ছয় মাস যাবত কিছুটা সমস্যা অনুভব করছিলেন। কিন্তু তেমন কোনো গুরুত্ব না দেওয়ায় সমস্যা আরও বেড়ে গেল। তাই কিছূ দিন আগে এক প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তারের খোঁজে গিয়েছিল। যখন হেল্পডেস্কে খোঁজ নিল, তখন জানানো হল কোনো ডাক্তার নেই। সমস্যার কথা জানতে চাইলে তিনি কোনো সংকোচ না করে বললেন তার গলায় সমস্যা। সাথে সাথে তাকে করোনা রোগী মনে করে পুলিশকে ফোন দেওয়া হল। আমার আত্মীয় সাথে সাথে দ্রুত বাসায় চলে আসেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন সমস্যা কোথায়। তাই চলুন নিজে সতর্ক থাকি, অন্যকেও সতর্ক করি। আর উপরে উল্লিখিত “করোনা ভাইরাসের সময় কি করব আর কি করব না” তা মেনে চলি।
Comments
Post a Comment